Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat.
হায়রে মিথ্যে ভালোবাসা তুই অকালে কেড়ে নিলি নিস্পাপ একটি প্রাণ😥😥
আপনারা সবাই অবগত আছেন যে কত 30 এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার ভৈরব চন্ডিবের 9 নং ওয়ার্ডের আসিফ নামে একটি ছেলে আত্মহত্যা করেছে, কেন এই ছেলেটি আত্মহত্যা রাস্তা বেছে নিয়েছিল আসুন জেনে নেই,
আসিফ ছেলেটি স্কুল লাইফ থেকে একটি মেয়েকে ভালোবাসতো মেয়েটির নাম ছিল মহিমা মেয়েটির বাড়ি পুলতাগান্দা, মেয়েটি আসিফের সাথে পাঁচ বছর যাবত ছলনাময়ী খেলা খেলেছে কিন্তু আসিফ সেটা বুঝতে পারেনি, ওদের সম্পর্কের কথা মেয়েটির ফ্যামিলি এবং আসিফের ফ্যামিলির সবাই জানতো, পরে মেয়েটি আসিফ কে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে রাখতো তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না, আর এর পুরো প্লানিং ছিল মেয়েটির মায়ের ,মা চিন্তা করত এবং মহিমা কে বলতো আসিফের থেকে ভালো ছেলে পেলে ওই ছেলের সাথে তোকে বিয়ে দিয়ে দেব,
আর যদি আসিফ এর চেয়ে ভালো ছেলে না পাওয়া যায় তাহলে তোকে আসিফের সাথে বিয়ে দিয়ে দেব, এভাবে আসিফকে মেয়েটি তার পেছনে অনেকদিন যাবত ঘুরাচ্ছে,
কিছুদিন পর একপর্যায়ে মেয়েটি আসিফের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং মহিমা পেগনেট হয়ে যায়, পরে আসিফকে মহিমা জানাই আমি তো এখন পেগনেট হয়ে গেছি কি করব,
আসিফ বলে মহিমা কে তুমি টেনশন করো না আমি তোমাকে বিয়ে করব, পরে মেয়েটি তার ফ্যামিলিতে বাবা-মা এবং চাচার সাথে কথা বলে আসিফের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য,
আসিফ নিজেও তার ফ্যামিলিতে ব্যাপারটা শেয়ার করলো এবং একপর্যায়ে আসিফের ফ্যামিলি সম্পর্কটা মেনে নিল এবং মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল, তখন আসিফ ফোন করে মেয়েটিকে বলে দিল যে আমার বাড়ি থেকে আমার বড় ভাই মা এরা আসবে তোমার ফ্যামিলিকে বলে রাখ, আসিফের ফ্যামিলির সদস্যরা মহিমার বাড়িতে গেল তখন মহিমার বাবা এক মাসের সময় নিলো, আসিফ এবং রহিমার বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে,
পরে হঠাৎ করে মেয়েটির বাবা চুপিচুপি অন্য এক জায়গায় মেয়েটির বিয়ে ঠিক করে নিল এবং মেয়েকে তাদের কব্জায় নিয়ে নিল,
তারপর ও মহিমা এই বিষয়গুলো আসিফকে জানায়নি আসিফ তো মহিমা কে অন্ধের মত বিশ্বাস করে ভালবাসতে লাগলো,
দু চার পাঁচ দিন যাওয়ার পর আসিফ ফলো করলো মহিমা সে ফোনে ব্যস্ত থাকে আসিফ মনে মনে ভাবতে লাগল আগে তো কোনদিন এরকম হয়নি
এখন কি ব্যাপার এত ব্যস্ত,
মহিমা ও আসিফের সঙ্গে গেম খেলতে শুরু করলো মহিমার যে ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করেছে তার বাবা ওই ছেলের সাথে ও ফোনে কথা বলে এবং আসিফকে ও সময় দেই,
তারপর 30 শে এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে মহিমা আসিফ কে ফোন দিয়ে বলল তার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে শুক্রবার নাকি ছেলে পক্ষ আসবে মহিমার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য ,
এই কথা শুনে আসিফ মহিমা কে অনেক বুঝালো এবং একপর্যায়ে মহিমার সাথে তর্ক শুরু করল, পড়ে আসিফ মহিমা কে বলল তোমার সাথে পাঁচ বছরের সম্পর্ক আমার তুমি এভাবে আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলে এই জীবন আমি আর রাখতে চাইনা,
তারপর মহিমাকে ভিডিও কলে রেখে আসিফ তার নিজের গলায় দড়ি দিল তখন সময় সকাল 11টা, আসিফ ফাঁসিতে ঝোলার পরেও মহিমা আসিফের ফ্যামিলির কাউকে জানায়নি, এর মাঝে মহিমা আসিফের মোবাইলে 20 টি কল দিয়েছে আসিফ তো রশিতে ঝুলে গেছে ফোন ধরবে কে,
তার মাঝে 3 ঘণ্টা পেরিয়ে গেল মহিমা কাউকে কিছু বলে নাই তিন ঘন্টা পর দুপুর 1 টা 10 মিনিটে মহিমা আসিফের আম্মুকে ফোন দিয়ে বলতে লাগলো আসিফ পাগলামি করছে ফোন রিসিভ করছে না আপনার দেখুন কি হয়েছে,
এই কথা শুনে আসিফের পরিবার আসিফের কে ডাকতে শুরু করলো আসিফের কোন সাড়াশব্দ পায়নি তারা তখন এক পর্যায়ে দরজা ভেঙ্গে ফেলল এবং ভিতরে গিয়ে দেখে আসিফের ঝুলন্ত লাশ,
এই কি ভালোবাসার পরিণাম এই কি মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা ,একে ই বিশ্বাস বলে, মহিমার মত কিছু নষ্ট মেয়েদের জন্য পুরো মেয়ে জাতি কলঙ্কিত হচ্ছে তারা অনেক মানুষের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে,
এতে করে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে এদেরকে চিনে রাখুন যাতে করে কোন মানুষকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে না হয়,,,
সবশেষে মহান আল্লাহ পাকের কাছে প্রার্থনা করি আসিফ কে যেনো জান্নাত নসিব করেন ,এবং আসিফের পরিবারকে যেন ধৈর্য ধারণ করার শক্তি দেন,,,
Leave a Reply